শুকরিয়া- আলহামদুলিল্লাহ!২৬ জানুয়ারী ছিলো আমার জন্মদিন!

প্রথমেই সকল প্রশংসা জ্ঞাপন করছি সেই মহান আল্লাহ পাকের প্রতি, যিনি আমাকে আপনাদের সকলের ভালোবাসায় সিক্ত ও প্রিয় হওয়ার তৌফিক দিয়েছেন।

শুকরিয়া- আলহামদুলিল্লাহ!

২৬ জানুয়ারী ছিলো আমার জন্মদিন!

ইতিমধ্যে অনেকেই জন্মদিনের শুভেচ্ছা দিয়েছেন। সবাইকে অনেক ধন্যবাদ। আমার মতো একজন অতিক্ষুদ্র মানুষের জীবনে যদিও জন্মদিনের তেমন কোন গুরুত্ব নেই তবুও আমার সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর প্রতি লাখো কোটি শুকরিয়া। আমার প্রাণপ্রিয় বাবা-মায়ের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যাদের কল্যাণে আমি আজ “তাওহীদ হাসান লিয়ন” আমি সবার কাছে দোয়া চাই। আমি যেন আমার জন্মকে সার্থক করতে পারি আমার কর্মের মাধ্যমে। আমার প্রজন্মের জন্য যেন রেখে যেতে পারি অনুকরণীয় এমন কিছু যার মাধ্যমে মানবতা সামান্যতম হলেও উপকৃত হয়।

আমি যখন আমার পেছনে তাকাই, তখন দিন, মাস, বছর পেরিয়ে চলে যাই সেই অতীতে যেখানে আমার শুরু। আমার মুখের ভাঙ্গা, ভাঙ্গা কথা আর একটু হাসিতে তৃপ্ত হত সবাই। আমাকে নিয়ে কতই না স্বপ্নের জন্ম হয়েছিল তখন!

আজ শৈশব, কৈশর আর অনেকটা সময় পেছনে ফেলে যৌবনে আমি। জীবন চলার বাঁকে জন্মদিয়েছি কত রূপকথা। ছোট্ট একটা জীবনে কত ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছি।! এই পৃথিবীতে এমনি একটি দিনে আমি এসেছিলাম, আজ সেই দিন। সেই জন্য আমি আমার সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে দায়বদ্ধ। তিনি আমায় সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার রব।

প্রত্যেকটি মানুষের কাছে তার জন্মদিনের বার্তাটি আনন্দের। আমার কাছে ও তাই তেমনই। দেশের বর্তমান করোনার মহামারীতে মানুষ আজ হতাশাগ্রস্থ। মানুষের মাঝে আজ আন্তরিকতা, ভালোবাসার বড়ই অভাব। কেউ কাউকে যেন বিশ্বাসই করতে চায় না। এটা আমাদের জন্য দূভাগ্যের।

জন্মদিনে কোন গিফট পাই না , তোড়া তোড়া ফুলের শুভেচ্ছাও পাই না!তারপরেও একাকী খুশিই থাকি সারাদিন। জন্মানোর তারিখ টা মনে হয় সবার কাছেই অনেক প্রিয় হয় এবং দিনটাকে একান্তই নিজের মনে হয় !

জম্ম হল মানুষের পৃথিবী জীবনের শুরু। জম্ম ব্যাপারটাকে যত খুশির বলে মনে করা হয়ে আসলে তা তেমন খুশির নয়। জম্ম হওয়া মানে মৃত্যু ফলে বিজ বোনা। আর মৃত্যুর কথা স্মরন হলেই মন খারপ হয়ে যায়। এই বুঝি আজরাইল হাজির হইল। খালি ভয়। অবশ্য আল্লাহ ও তার রাসুল মৃতুকে স্মরন করতে বলেছেন বেশী বেশী। এতে মন নরম হয়। জগতের প্রতি মোহ থাকেনা।

পছন্দ অপছন্দ যাই করি না কেন এটা চির সত্য প্রত্যেকটি আত্মাকেই মৃত্যুর স্বাধ পেতে হবে। বর্তমান মানব সম্প্রদায় এই চির সত্যকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করছে। আর জন্য তারা গা ডুবিয়ে দিচ্ছে নান ধরনে বিলাস ব্যসনে। কিন্তু মৃত্যুকে ভুলে থাকলেই কি সব সমস্যার সামাধান হয়ে যাবে। জম্ম দিনের এতো আনন্দ কেক কাটা হই হুল্লোরের মাঝে ভুলে যাই আমার জীবন থেকে খসে পড়ল আরো একটি বছর। ঝড়ে যাচ্ছে বছরগুলো এক এক করে। হায়াত কমছে।

পবিত্র আল কোরআনে জম্মানো কারন হিসাবে বলা হয়েছে ইবাদতে কথা। অর্থাত আল্লাহর আরাধনা করার জন্যই প্রানের সৃষ্টি। প্রতিটি প্রানীই তার নিজস্ব ঢংগে আরাধান করে। কিন্তু মানব সম্পদায় তার আরধনা দায়িত্ব ঠিক ভাবে পালন করেনা। সে ভুলে থাকতে চায় মুত্যর মত তার জম্মের উদ্দেশ্যকেও। জম্ম –মৃত্যু যতই ভাল বা খারাপ হোক না কেন, মনে রাখতে হবে জম্মের মাধ্যাম বান্দার পরিক্ষার হলে প্রবেশ। মৃত্যর মাধ্যমে পরিক্ষার সমাপ্তী। পরীক্ষার হলে বসে বসে কেউ যদি না লেখে সময় ন্ষ্ট করে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ। তেমনি দুনিয়াতে যতক্ষন থাকা হবে ততক্ষন যদি মানুষ ভোগবিলাসে কাটিয়ে মূল্যবান জীবন নষ্ট করা হয় তাহেলে একইরকম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

আমরা দুনিয়াতে আমলে সলেহ করলে অর্থাত সত কাজ করলে একদিকে আল্লাহর ইবাদত হত অন্যদিকে মানুষের খেদমত হত। হক্কুল ইবাদ অর্থাত মানুষের হক যে আদায় করে সে আল্লাহর খুব পছন্দের। এই মানবিক চেতনা মানুষকে দিতে পারে শান্তির ফুলগুধারা। মানবজাতি যদি মনে রাখত তাকে একদিন তার সৃষ্টার সাথে মিলিত হতে হবে। তখন এই ভাল কাজই তার মুক্তির উছিলা হতে পারে। তাই বেশী বেশী মৃত্যুকে সম্মরন করে ভালে কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।

আমারা দুনিয়ার সবাই যদি মুত্যকে স্মরন করতাম তাহলে সমাজে পাপ অনেক কমে যেত। মৃত্যু মানেইতো আল্রাহর কাছে জবাব দিহি দেয়া।

দুনিয়ে আখেরাতের শষ্য ক্ষেত্র- আল হাদিস।

শষ্য ক্ষেত্রে এখন যদি ভালভাবে কাজ করি আখেরে ভাল ফসল পাওয়া যাবে। আর তা না হলে সরবহারা হয়ে কেয়ামতের ময়দানে আহাজারী করতে হবে। তাই জম্মদিনে শপথ নিন এখন থেকে জীবন সৃষ্টির সেবায় নিয়োজিত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করব।

********

জম্মদিনে আনন্দ নয়

যাচ্ছে কমে আয়ু

এভাবে কমেই একদিন

বের হবে প্রান বায়ু।

এ কথাটি স্মরন করে

কর ভাল কাজ

আখেরে স্রষ্টার কাছে

না পাও যেনো লাজ।

জম্মদিনে দোয়া চাই

যত দিন বাঁচি

থাকি যেনো স্রষ্টা আর

সৃষ্টির কাছাকাছি।

মা-বাবা, ভাই ও কিছু মানুষের ঋণের কথা বলার হিম্মত আমার নেই। সকলের মুখে হাসি ফুটাতে লড়ে যাচ্ছি জীবন সংগ্রামে। গত হওয়া সময়ের সাথে যোগ হচ্ছে আরো একটি বছর। সকলের কাছে সব ভুলের ক্ষমা চাচ্ছি। তারো আগে ক্ষমা চাই মহান রবের কাছে।

আজ ও আগামীর দিনগুলো সবাইকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই। চাই সুন্দর কিছু মানুষদের সাথে ভালভাবে বেঁচে থাকতে।সবাই দোয়া করবেন।

আজ আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কেনো না, ফেসবুকের মাধ্যমে এই ক্ষুদ্র আমি আজ অনেক পেয়েছি, দেশের খ্যাতনামা অনেক ব্যক্তিবর্গ আমার পরিচিত অপরিচিত ভাই বন্ধুদের শুভেচ্ছা বাণী। অনুপম কাব্যিক শুভেচ্ছাবার্তা, ভার্চুয়াল নৈসর্গিক উপহার আর ফুলেল শুভেচ্ছায় মন প্রফুল্ল হয়েছে বারবার।মনে হল এখনও বেচে আছি, ভাল আছি। আসলে ভাল আছি তা মাঝে মাঝে ভাবতেও ভাল লাগে। শুভ জন্মদিন আমার নিজেকে, সেই সাথে সকলের জন্য দোয়া রইলো, সবাই ভাল থাকুক, আল্লাহ সবাইকে ভাল থাকার ক্ষমতা দান করুক।

আমি সত্যিই ধন্য। আমি কৃতজ্ঞ আমার সব প্রিয় বন্ধুদের কাছে। অনেক বন্ধুই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, দোয়া করেছেন এ জন্য ধন্যবাদ । আল্লাহ সকলকে উত্তম প্রতিদানে ভুষিত করুন ।

লিয়ন নামের সঠিক অর্থ কি ?

আপনি কি লিয়ন নামের অর্থ কি কিংবা লিয়ন নামের ইসলামিক অর্থ। কি এর উত্তর খুঁজছেন, তাহলে ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। লিয়ন নামের অনেককেই নিজের নামের অর্থ না জানার কারণে প্রায়ই বিভ্রান্তিতে পড়তে হয়।

নামটি বেশ আনকমন ও সুন্দর, তাই বাংলাদেশে “লিয়ন” নামের ব্যবহার প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তাই আজ আমাদের ওয়েবসাইটে লিয়ন নামের অর্থ কি, এর আরবি, ইসলামিক অর্থসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে বিশদ আলােচনা করবাে।

লিয়ন একটি জনপ্রিয় ও বাঙালী প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত যুগােপযােগী একটি নাম। ইসলাম সহ জগতের প্রতিটি ধর্মই তার অনুগতদের জন্য একটি করে সুন্দর নাম রাখার ব্যাপারে তাগিদ দেয়। নিজের কিংবা আত্মীয়ের সদ্য ভূমিষ্ঠ ছােট্ট সােনামণির জন্য লিয়ন নামটি বেশ আকর্ষণীয় হবে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

আজ এই লিখাটি পড়লে আপনি যে কেবল লিয়ন নামের অর্থ কিই জানতে পারবেন তা নয়। লিয়ন কি ইসলামিক নাম, লিয়ন নামের ইসলামিক অর্থ কি, লিয়ন নাম দিয়ে। পুরাে নামের সাজেশন, লিয়ন নামের বিখ্যাত ব্যক্তি ও বিষয় সম্পর্কেও পূর্নাঙ্গ ধারণা পাবেন।

লিয়ন কি ইসলামিক নাম?

হ্যা, লিয়ন একটি ইসলামিক নাম। ইসলামি পরিভাষায় বা অভিধানে লিয়ন শব্দটি বেশ কয়েকবার লিপিবদ্ধ হয়েছে।

লিয়ন নামের অর্থ কি (Leon Namer ortho ki)

লিয়ন নামের আক্ষরিক অর্থ হলাে সিংহ জাতীয় । এছাড়াও বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া লিয়ন নামের আরাে অর্থ হলাে সিংহ ।

লিয়ন নামের ইসলামিক অর্থ কি?

লিয়ন নামের ইসলামিক অর্থ সিংহ জাতীয় । লিয়ন নামটি সরাসরি ইসলামের সাথে সম্পর্কিত না হলেও এর অর্থের সাথে যথেষ্ট ভাব বিদ্যমান।

লিয়ন নামের সন্তানেরা কেমন হয়?

লিয়ন নামের সন্তানরা বড় হয়ে ঠিক কেমন হবে তা নিশ্চিত বলা যায়না। তবে লিয়ন নামের পরিচিত ও জনপ্রিয় যাদের ব্যাপারে শােনা যায় তারা প্রত্যেকেই পিতামাতার জন্য নিয়ামত। বাবামা’র বৃদ্ধ বয়সেও লিয়ন নামের সন্তান তাদের পাশে দাঁড়াবে।।

লিয়ন নামের ইংরেজি বানান কি?

লিয়ন নামের ইংরেজি বানান Leon.

TAWHID HASAN LEON

tawhidhasanleon@gmail.com

Monthly Review December

‘December’ মানে সম্পূর্ণতা এবং পরিপূর্ণতা। প্রাচীন রোম সম্রাটরা সূর্যকে (Sol) দেবতা হিসাবে গণ্য করতো। আর এই পুরো ডিসেম্বর মাসজুড়ে তারা দেবতার জন্য উৎসব পালন করতো।

ডিসেম্বরের রঙ নীল। নীল হচ্ছে স্বাধীনতা, বিশ্বাস, অনুপ্রেরণা, আস্থা এবং বুদ্ধিমত্তার প্রতীক।

ডিসেম্বরের ফুল হচ্ছে ‘ড্যাফোডিল’। কবি নজরুল এই ড্যাফোডিল ফুলের বাংলা নাম দেন ‘নার্গিস’। এই নার্গিস ফুলের কথা এসেছে নজরুলের অনেক কবিতা আর গানে।

ডিসেম্বরের সংখ্যা ‘১২’। প্রথম তিনটি সংখ্যার ফ্যাক্টোরিয়াল সমষ্টি ১২। ১২ হচ্ছে সবচেয়ে উচ্চতর যৌথ সংখ্যা। সময়ের গণনা, বছরের গণনা ১২ দিয়েই করা হয়। ইংরেজিতে Twelve হচ্ছে সবচেয়ে বড় সিঙ্গেল-সিল্যেবল শব্দ। চাঁদ এখন পর্যন্ত ১২ জন মানুষের পা স্পর্শ করেছে।

১২ সংখ্যাটি হচ্ছে মহাবিশ্বের প্রতীক। দার্শনিক পীথাগোরাসের মতে, ‘পৃথিবীর ৪টি উপাদান, ৪টি কোণ, ৪টি মূল বিন্দু আছে। আর ৩ সংখ্যাটিকে ঈশ্বরের পবিত্র সংখ্যা মনে করা হয়। তাই ৪*৩=১২ একটি নিখুঁত সংখ্যা হিসাবে বিবেচিত।’

ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো স্বপ্নবাদী হওয়ার পরিবর্তে বাস্তবতায় বিশ্বাসী হয়। তারা খুব অল্প বয়সে কঠোর বাস্তবতাকে উপলব্ধি করে।

ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর মন মেজাজ তুলনামূলক কম খিটখিটে স্বভাবের হয়। তাদের মন মেজাজ সাধারণত কম সুইং করে। তবুও তারা মানুষের কাছে হতাশা আর বিষণ্নতার মনোভাব দেখায়।

ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোকে দেখতে মুডি স্বভাবের মনে হয়। মনে হয় তাদের সাথে মিশতে পারা অনেক কঠিন। কিন্তু একবার মিশতে পারলেই অনেক কোমল হৃদয়ের যত্নশীল মানুষের দেখা মিলে যায়।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর ইগো বা অহংকার একটু বেশী। তারা এই অহংকারকে নিজেদের আত্নসম্মান হিসাবে বিবেচনা করে। তাদের নিজস্ব আত্নসম্মানের কাছে জাগতিক সবকিছু তুচ্ছ।

ডিসেম্বরে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো নিজস্ব মতামত তুলে ধরতে ভালবাসে। তারা প্রত্যেক বিষয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করতে চায়।
বিভিন্ন আলোচনায় মানুষের মাঝে বসে তারা তাদের নিজস্ব জ্ঞান ব্যক্ত করতে ভালবাসে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো প্রতিশ্রুতি আর অঙ্কীকারে বিশ্বাসী। প্রতিশ্রুতি ব্যাপারটা তাদের কাছে পৃথিবীর সমতুল্য। তাদের সাথে প্রিয় মানুষগুলোর সম্পর্ক অনেক কঠিন হয়ে যায়, কারণ তারা যে পরিমাণ প্রতিশ্রুতি আশা করে সে পরিমাণ পেতে চায়।

ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো যেকোনো বিষয় থেকে শিখতে ভালবাসে। তারা বিশ্বাস করে যেকোনো জায়গায়, যেকোনো পরিস্থিতিতে জ্ঞান আরোহন করা যায়।

বেশিরভাগ সময়ে এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষেরা অন্যদের দ্বারা ভুল বুঝাবুঝির স্বীকার হয়। কারণ তারা যেকোনো বিষয়ে গোপনীয়তা বজায় রাখে। তারা বন্ধুদের কাছে অত্যন্ত বিশ্বাস পরায়ণ হয়ে থাকে।

ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো তাদের সকল কাজ-কর্ম নিয়ম-শৃঙ্খলার মাঝে রাখতে পছন্দ করে। তারা কথাকে কাজে পরিণত করতে ভালবাসে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো জীবনের সাথে আবেগ কম মেশায়। তারা যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারিক জীবন পরিচালনা করতে ভালবাসে। আর যেকোনো সিদ্ধান্তে পৌছাতে তারা তথ্য আর পরিসংখ্যানের উপর নজর দেয়।

ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর মাঝে প্রফুল্লতা চরম পর্যায় থাকে। তারা তাদের নিজস্ব স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। কোনো বদ্ধ জায়গায় তারা আবদ্ধ থাকতে চায় না বরং সর্বত্র বিচরণ করতে চায়।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খেলাধুলার ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহী হয়। ক্রীড়াবিদ না হলেও তারা খেলাধুলার বিষয়ে জ্ঞান চর্চা করতে পছন্দ করে।

ডিসেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর কাছে পশু,পাখি কিংবা অন্যান্য প্রাণী অত্যন্ত প্রিয় হয়। তারা প্রাণীদের নিয়ে ভাবতে ভালবাসে। প্রাণীদের নিজস্ব জীবনযাত্রায় মিশে যেতে চেষ্টা করে।

December, being the last month of the year, cannot help but make us think of what is to come.

  • Fennel Hudson

꧁𓊈𒆜•Leͥgeͣnͫd•ᴸᵉᵒⁿ 𒆜𓊉꧂

Monthly Review November

‘November’ মানে বিশ্বস্ততা। রোমান সম্রাটরা একে বলতো রক্তের মাস।

নভেম্বরের রঙ হলুদ। আর হলুদ হলো বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসার প্রতীক।

নভেম্বর বছরের ‘১১’ তম মাস। ‘১১’ সংখ্যাটি আধ্যাত্বিকতা বহন করে। দার্শনিক অগাস্টের মতে ‘১১’ হচ্ছে পাপ মোচনের প্রতীক। আশ্চর্যের বিষয় হলো, নভেম্বরের মত ১১ সংখ্যাটিকে বিশ্বাস ও মনোজগৎ এর সংখ্যা বলা হয়।

গণিত শাস্ত্রে ‘১১’ সংখ্যাটিকে মাস্টার সংখ্যা বলা হয়। ‘১১’ হচ্ছে ক্ষুদ্রতম ধনাত্নক পূর্ণ সংখ্যা এবং বৃহত্তম মৌলিক সংখ্যা। পাশাপাশি এই সংখ্যাটি সহজাত দক্ষতা সম্পন্ন ও প্রগতিশীল সংখ্যা।

নভেম্বর মাসে যারা জন্মগ্রহণ করে তারা একাকীত্ব প্রিয়। কারণ তারা খুব সহজে মানুষকে বিশ্বাস করতে চায় না। কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে তারা খুব সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ।

অধিকাংশ মানুষ এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষদেরকে অহেতুক ভুল বুঝে। কারণ এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষেরা খুবই রহস্যময় প্রকৃতির। মানুষ সহজে এদের চিনতে পারেনা।

দশ মানুষ একরকম চিন্তা করলে তারা ভিন্ন রকম চিন্তা করবে। তারা খুব স্বপ্নবাদী মানুষ হয়। তারা স্বপ্ন দেখতে ভালবাসে। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে চায়।

নভেম্বরে জন্ম মানেই বিশ্বাস আর সততা। এরা কারো কাছে কোন প্রতিজ্ঞা করলে সেটা সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে রক্ষা করার চেষ্টা করে। প্রিয় মানুষকে রক্ষার জন্য এরা যে কোন কিছু করতে পারে।

তারা কোনো অবিচার সহ্য করতে পারে না। কোন কিছু ভুল হলে তারা মুখ ফুটে সরাসরি বলে ফেলে। এজন্য অনেকে ঠোঁটকাটা স্বভাবের বলে।

নভেম্বরে জন্ম নেওয়া মানুষ রহস্যপ্রিয় হয়ে থাকে। রহস্যময়তার জন্য সহজেই মানুষজন তাদের দ্বারা আকৃষ্ট হয়।

তারা কিছু করতে চাইলে সেটা করে দেখাতে ভালোবাসে। ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ না হলে তারা কোন কাজে সহজে হাল ছাড়েনা।

এরা খুব কৌতুহলপ্রিয় মানুষ হয়। কোন কিছুতে কৌতুহলি হলে সেটার রহস্যভেদ না করা পর্যন্ত ভালো লাগে না।

নভেম্বরে জন্ম নেওয়া মানুষ যদি কাউকে একবার অবিশ্বাস করে কিংবা কেউ যদি তাদের সাথে স্বার্থবাদী আচরণ করে তবে সেই মাননুষকে আর দ্বিতীয়বার মনে জায়গা দেয় না।

খুব আবেগপ্রবণ হয়। যে কোন কষ্টের বিষয়ে তার খুব সহজেই আবেগপ্রবণ হয়। আর অন্য সবাই তাদের আবেগকে সুযোগ হিসাবে নেয়।

এরা খুব শান্ত শিষ্ট স্বভাবের হলেও যে কোন বিষয়ে তর্ক করতে মুন্সিয়ানা হয়। সহজে না রাগলেও রেগে গেলে রাগ থামানো খুব কঠিন।

……………

বছরের সব মাসের মত এই মাসেও অনেক বিখ্যাত লোক জন্ম নিয়েছেন।

বাংলাদেশের কথা যদি বলি তবে তো সবার আগে বলতে হবে কালজয়ী লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর কথা। এছাড়াও প্রখ্যাত বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু। গায়িকা রুনা লায়লা। রাজনীতিবিদ ইস্কান্দার মির্জা। আরেক বিখ্যাত লেখকক ঋত্বিক ঘটক। আরো প্রমুখ।

ভারতবর্ষে সুলতান আমলের টিপু সুলতার থেকে গত শতাব্দীর বিখ্যাত নেতা জওহরলাল নেহেরুর জন্ম এই মাসেই। মানুষের অধিকারের জন্য সবচেয়ে সাহসী কণ্ঠ মার্টিন লুথার কিং ও আছেন তালিকায়। আরো আছে চার্চিল, ইন্ধিরা গান্ধী আরো প্রমুখ।

বলিউড কিং খান শাহরুখ আর ঐশ্বরিয়া রায় থেকে শুরু করে হলিউডের লিওনার্ডো ডা ক্র্যাপ্রিয়ো, ব্রুসলি জন্ম এই মাসেই।

ম্যারি ক্যুরি, এডলোফ স্যাক্স, গ্রেসহোপার, স্ট্র্যানবার্গের মত প্রমুখ সাইন্টিস জন্ম এই মাসেই।

মার্ক ট্যুয়েন, মার্গারেট মিশেল, রবার্ট লুইসদের মত বড় বড় লেখকদের জন্ম এই মাসেই।

আরো প্রমুখ………

November comes November goes,
With the last red berries, and the first white snows.

꧁𓊈𒆜•Leͥgeͣnͫd•ᴸᵉᵒⁿ 𒆜𓊉꧂

Monthly Review October

‘October’ মানে ভারসাম্য। রোমান সম্রাটরা এই মাসকে প্রাচুর্য এবং ক্ষমতার প্রতীক হিসাবে মূল্যায়ন করতো।

অক্টোবরের রঙ সাদা এবং হলুদ। সাদা সততা, বিশুদ্ধতা এবং হলুদ বন্ধুত্ব, ভালবাসার প্রতীক। অক্টোবরের ফুল ম্যারিগোল্ড বা গাঁদা ফুল। গাঁদা ফুলের রঙও হলুদ।

অক্টোবর মাসের ‘১০’ তম সংখ্যা। ১০ হচ্ছে দশমিক এবং সংখ্যা পদ্ধতির ভিত্তি। বাইবেল অনুযায়ী ১০ হচ্ছে কুমারী সংখ্যা। দার্শনিক পীথাগোরাস কোনো প্রার্থনা করার সময় ‘তেত্রাক্টিস’ আর্চনা করতেন। ‘তেত্রাক্টিস’ হচ্ছে ১+২+৩+৪=১০।

অক্টোবর মাসে যারা জন্মগ্রহণ করে তাদের মন মনোমুগ্ধকর, রোমান্টিক এবং সহজাত দক্ষতা সম্পন্ন হয়। এইজন্য সহজেই তারা অন্য কারো প্রিয় মানুষ হয়ে যায়।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো সত্যের প্রতি অবিচল থাকে। তাই এরা মানুষের পিছন থেকে পরনিন্দা করে না, সামনা-সামনি সত্য বলতে ভালবাসে।

মিথ্যা আর জালিয়াতি বুঝতে পারার জন্য এদের ষষ্ঠ ঈন্দ্রীয় খুব দ্রুত কাজ করে।

অক্টোবরে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব বুদ্ধিমান হয়ে থাকে। যে কোনো সমস্যার সমাধান তারা সহজেই খুঁজে বের করতে পারে। কিন্তু সমাধান প্রয়োগে আলসেমি স্বভাব কাজ করে।

অক্টোবর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষেরা খুব আশাবাদী স্বভাবের হয়। যে কোনো বিষয়ে তাদের চিন্তাভাবনা পজেটিভ ভাবাপন্ন হয়। আর একটি কথা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে ‘নেভার গিভ আপ’।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো সহজেই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। কারণ তারা নিজের নামে অন্যের সমালোচনা শুনতে একদমই পছন্দ করে না।

এরা সহজেই রাগান্বিত বা ক্ষুব্ধ হয়ে যায়। কারণ তারা অন্য মানুষদের খারাপ ব্যবহার কিছুতেই সহ্য করতে পারে না।

অক্টোবরে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো সহজে রাগান্বিত হলেও এরা রাগকে কন্ট্রোল করতে পারে। রগটচা স্বভাবের জন্য অনেকসময় কাছের মানুষদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আবার সহজেই তাদেরকে কাছে টেনে আনার ক্ষমতা রাখে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো ব্যক্তিগত মতামতকে বেশী প্রাধান্য দেয়। ফলে যে কোনো সিদ্ধান্তে পৌছাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা মাত্রাধিক হয়।

এরা সহজেই মানুষের সাথে পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে। আর তাদের কথার দ্বারা সহজেই মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে।

নিজস্ব অর্থের পরিমাণ যাই হোক না কেন এরা টাকা-পয়সা দু’হাতে খরচ করতে খুব ভালবাসে। (অপচয়)

অক্টোবরে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো অসম্ভব সাইকেডেলিক শক্তি নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এরা চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসে। এরা মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করে বেঁচে থাকার মানুষ।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষদের দেখলে আপনার মনে হবে অনেক মুডি স্বভাবের। কিন্তু তাদের স্বভাব খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ।

“Ah, Lovely October, as you usher in the season that awakens my soul, your awesome beauty compels my spirit to soar like a leaf caught in an autumn breeze and my heart to sing like a heavenly choir.”
― Peggy Toney Horton

꧁𓊈𒆜•Leͥgeͣnͫd•ᴸᵉᵒⁿ 𒆜𓊉꧂

Monthly Review September

‘September’ শব্দের অর্থ সাহস এবং বীরত্ব। রোমান ক্যালেন্ডারে সেপ্টেম্বর ছিলো সপ্তম মাস। তাই রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার ‘সেভেন’ শব্দটির সাথে মিলবন্ধন রেখে এই মাসের নাম দেন ‘সেপ্টেম্বর’।

সেপ্টেম্বরের রঙ হচ্ছে ‘নীল’। নীল রঙ হচ্ছে বিশ্বাস, আন্তরিকতা এবং আত্নবিশ্বাসের প্রতীক।

সেপ্টেম্বরের ফুল হচ্ছে অ্যাস্ট্রার বা তারাফুল। তারাফুল পৃথিবীর আদ্যিকাল থেকে মানুষের সাথে পরিচিত। তারাফুল বিভিন্ন রঙের বর্ণিল রূপ ধারণ করে। তারাফুলের প্রতীক হচ্ছে সৌন্দর্য, কমনীয়তা এবং বিনয়।

সেপ্টেম্বর বছরের ‘৯’ তম মাস। ‘৯’ সংখ্যাটি পবিত্রতা, প্রজ্ঞা এবং পরিপূর্ণতার পরিচয় বহন করে। দার্শনিক পিথাগোরাসের মতে, ‘৯ সংখ্যাটি এ্যনিয়াড (Ennead) সংখ্যা হিসাবে বিবেচিত, যাহাকে দেবদূত কর্তৃক জাদুকরী সংখ্যা হিসাবে মনে করা হয়।’

গণিতে ভাষায় ‘৯’ সংখ্যাটি প্রথম যৌগিক ভাগ্যবান সংখ্যা বলা হয়। একক-সংখ্যায় ‘৯’ হচ্ছে সবচেয়ে বড় সংখ্যা। মূল্যবান ধাতুর বিশুদ্ধতা নিরূপণের ক্ষেত্রে ‘৯’ সংখ্যাটি প্রযোয্য।

ধর্মীয় ক্ষেত্রে ৯ সংখ্যাটি গূরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক ক্যালেন্ডারে ৯ম মাস হচ্ছে রমজান মাস, যে মাসে সিয়াম-সাধনা পালন করতে হয়। হিন্দু ধর্মে ৯ হচ্ছে ব্রহ্মার সংখ্যা। বৌদ্ধ ধর্মে গৌতম বুদ্ধ ৯ টি পূর্ণে বিশ্বাস করতেন।

.
সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো সত্য এবং বাস্তবতায় বিশ্বাসী। তারা কল্পনাপ্রসূত চিন্তা করতে পছন্দ করে না। যে কোনো বিষয়ের উপর তারা বাস্তবতায় বিশ্বাস রাখে। ফলে কঠিন পরিস্থিতির মাঝেও তারা ঠান্ডা মাথায় আচরণ করতে পারে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো নম্র স্বভাবের হয়। অন্য কারো কথার জবাবে ‘না’ বা ‘প্রত্যাখান’ করে দিলেও তারা সেখানে সর্বাধিক ভদ্রতা বজায় রাখে। কারণ তারা অন্য কারো মনে কষ্ট দিতে চায় না।

সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো অতিরিক্ত সতর্কতা পোষণ করে। তাদের লোকদের বোঝার আশ্চর্য ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় সর্বদা তাদের প্রবৃত্তিকে বিশ্বাস করে।এমনকি যদি তারা কারো প্রেমে পড়ে যায় তবে তারা সম্পর্কের ভবিষ্যতটিকে অফিসিয়াল করার আগে অবশ্যই তা মূল্যায়ন নেয়।

তাদের কোনো কর্মকান্ডের জন্য অন্য কেউ যেন কষ্ট না পায় সে বিষয়ে সচেতন থাকে সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো। তারা যেকোনো বিষয়ে খুব সহজে মানুষকে বুঝাতে সক্ষম হয়। যার ফলে তারা অন্যদের কাছ থেকে ‘না’ শব্দটি প্রত্যাশা করে না।

এই মাসে জন্মগ্রহণকারী মানুষেরা খুব স্নেহময়! তারা কেবল প্রেমময় নয়, তারা যত্নশীল এবং নিঃস্বার্থও বটে। এই চারিত্রিক স্বভাবের জন্য অন্যরা সহজেই তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। কিন্তু যারা আকৃষ্ট হয় তাদের অধিকাংশ নিজ স্বার্থবান হয়। যার ফলে অধিকাংশ সময় ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়।

সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব সহজেই বিষন্ন বা উদাসীন হয়ে পড়ে। তাদের উদাসীনতার মূল কারণ হচ্ছে তারা সবসময় জীবনের সবকিছুতে শতভাগ পরিপূর্ণতা আশা করে। কিন্তু সবসময় সবকিছুতে শতভাগ পরিপূর্ণতা পাওয়া খুব জটিল ব্যাপার।

সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণকারী মানুষগুলো প্রায়শই অন্যের দ্বারা ভুল-বোঝাবুঝির স্বীকার হয়। কারণ তারা খুব সহজেই অপরিচিত মানুষের সাথে মিশতে চায় না। তারা অনেক বুঝেশুনে সময় নিয়ে একজন মানুষের সাথে মিশতে চায়। যার ফলে অন্যরা তাদের ব্যতিক্রমধর্মী মনে করে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর কাছে খাবার খুব প্রিয়। তারা খেতে খুব পছন্দ করে। আর সবসময় নতুন নতুন খাবারের স্বাদ গ্রহণের অন্বেষণে থাকে।

সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো তাদের যেকোনো কাজ নিজেদের মনের মত করে করতে চায়। যেকোনো কাজ নিজেদের মত করে শেষ করে। তাতে অন্য কারো মতামত নিতে চায় না। আর কাজটা নিখুঁত হওয়া না পর্যন্ত তারা সেটা চেষ্টা করতেই থাকে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর চিন্তা চেতনার গভীরতা বিশদ। তারা যেকোনো বিষয়ে অত্যন্ত বিস্তীর্ণ দৃষ্টিকোণে লক্ষ্য রাখে। সমস্ত বিষয়ে তারা দুইটি ধারণা পোষণ করে। কারণ তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তারা সর্বদা উপকারিতা ও বিবেকের পক্ষে ওজন করে।

সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর সাহিত্যের বইয়ের প্রতি আলাদা ভালবাসা আছে। তারা যেকোনো জায়গায় বই নিজেদের সঙ্গে রাখতে চায়। বই তাদের কাছে অনেকটা ক্ষুধা নিবারণের খাদ্য।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো তাদের কাজের প্রতি পরিশ্রমী হতে চেষ্টা করে। তারা খুব সহজে কোনো কাজে হাল ছেড়ে দেয় না। কোনো শেষ পর্যন্ত চেষ্টা না করে তারা ক্ষান্ত হয় না।

সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো জীবনের প্রতিটি ক্ষুদ্র জিনিসের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। খুব দুর্দান্ত কোনো জিনিস অথবা কেবল একটি প্রশংসা হলেও তাদের কিছু যায় আসে না! তারা সমস্ত কিছুর জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।

সেপ্টেম্বর মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব সুখী থাকে যখন কোনো সম্পর্কে জড়ায়। কারণ তারা তাদের মুহুর্ত এবং অভিজ্ঞতা তাদের পাশের কারও সাথে ভাগ করে নিতে পছন্দ করে। সেটা প্রেম বা বন্ধুত্বের সম্পর্ক যাই হোক। কেউ তাদের আস্থা অর্জন করলে শেষ পর্যন্ত তারা অনুগত থাকার চেষ্টা করে।

September is the month of maturity; the heaped basket and the garnered sheaf. It is the month of climax and completion. September! I never tire of turning it over and over in my mind. It has warmth, depth and colour. It glows like old amber.
– Patience Strong

꧁㊈↜•Leͥgeͣnͫd•ᴸᵉᵒⁿ ↜㊉꧂

Monthly Review August

‘August’ শব্দের অর্থ চিত্তাকর্ষক এবং সম্মানিত। রোমান সম্রাট অগাস্টেট সিজারের নামের সাথে মিল রেখে এই মাসের নাম রাখা হয় আগস্ট।

আগস্টের এর রঙ হচ্ছে ‘গাঢ় সবুজ’। গাঢ় সবুজ হচ্ছে সমৃদ্ধি, সতেজতা এবং অগ্রগতির প্রতীক।

আগস্ট মাসের ফুল হচ্ছে ‘গ্লাডিওলাস ফুল’। গ্লাডিওলাস ফুল হচ্ছে সৌন্দর্য, ভালবাসা এবং চরিত্রের শক্তির প্রতীক।

আগস্ট বছরের ‘৮’ মাস। ‘৮’ সংখ্যাটি সম্প্রীতি, ভারসাম্য, প্রাচুর্যের পরিচয় বহন করে। দার্শনিক পিথাগোরাসের মতে, ‘৮ সংখ্যাটি ওগডাড (Ogdoad) সংখ্যা হিসাবে বিবেচিত, যাহাকে ক্ষুদ্রতম পবিত্র সংখ্যা হিসাবে মনে করা হয়।’

‘৮’ সংখ্যাটিকে জীবের প্রাণশক্তি বলা হয়, কারণ অক্সিজেন অটোমিক সংখ্যা ৮। মাঁকড়সার ৮ টি পা থাকে। অক্টোপাসের ৮ টি হাত থাকে। একটি বাইট ৮ বিটের হয়। একটি ঘনক্ষেত্রে আটটি শীর্ষ রয়েছে।

বৌদ্ধ প্রতীক ধর্মচক্রে আট জন মুখপাত্র রয়েছে। হিন্দু ধর্ম অনুসারে আটটি নিধি বা সম্পদের আসন রয়েছে। যিশুর দ্বারা আটটি দোয়া আবৃত্তি আছে। ইসলামে স্বর্গের দরজা সংখ্যা আটটি।

.
আগস্ট মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো অনেকটা চুম্বক প্রকৃতির। এরা খুব সহজেই মানুষের মনকে আকর্ষণ করতে পারে। তাদের বুদ্ধি এবং কমনীয় উপস্থিতি সর্বদা অন্যকে আকর্ষণ করে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো যে কোনো কঠিন পরিস্থিতি সহজে সামাল দিতে পারে। কারণ তার মনের দিক থেকে খুব শক্তিশালী এবং যেকোনো কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে পারে।

আগস্ট মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর হঠাৎ করেই আবেগের বিস্ফোরণ ঘটে। তাদের এই আবেগের কারণ অন্যদের কাছে বোঝা খুব কঠিন। অন্যদের বুঝতে না পারার জন্য আবেগবশত তার যে কোনো দূর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো জীবনে বিখ্যাত ও ক্ষমতাবান হতে চায়। আর এই কাজে তারা সফলতাও পায়। কারণ তারা সবসময় ক্ষমতার সন্ধ্যান করে এবং সেই ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে বিখ্যাত হতে চায়।

আগস্ট মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো তাদের সুখ-দুঃখ অন্যদের কাছে প্রকাশ করতে ভালবাসে। তারা তাদের অনুভূতিগুলি আড়াল করতে পারে না। তাদের মুখের অভিব্যক্তিতে প্রকাশ পায় তাদের লাইফে আসলে কি চলছে।

এইমাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো একগুঁয়ে প্রকৃতির হয়। তারা যদি কিছু চায় তবে সেটা তাকে দিলে অত্যন্ত খুশি হবে। আর যদি সেটা না দিতে পারেন তবে তারা জেদী মনোভাব দেখাবে।

তারা খুব স্ব-অনুপ্রাণিত হয় এবং নিজেরাই তাদের উদ্যোগের ব্যাপারে যত্নশীল হয়। তারা খুব উদ্যমী এবং যে কোনও কঠিন পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে নিজেদেরকে সর্বদা প্রস্তুত রাখে।

আগস্ট মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব স্মার্ট হয়। তাদের কোনো অহেতুক প্রশ্ন করলে প্রচন্ড বিরক্ত হয়। তারা ক্ষুদ্রতম জিনিসগুলিতে বিরক্ত হয় এবং সেটি প্রকাশ করতে দ্বিধাবোধ করে না।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো অন্য কারো মুখোমুখি অনুভূতি ব্যক্ত করতে পারে না। তাদের অনুভূতিগুলো তারা অন্যদের কাছে লিখে প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্রবোধ করে। অনুভূতি প্রকাশে তাদের লেখার দক্ষতা রয়েছে খুব চমৎকার।

আগস্ট মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো তাদের ব্যক্তিগত জায়গায় একাকী থাকতে পছন্দ করে। একা থাকা তাদের এগুলি মোটেও বিরক্ত করে না এবং তারা একাই কাটানো সময়কে মূল্য দেয়।

এই মাসে জন্মগ্রহণকারী মানুষগুলোর কাছে প্রেম খুব উচ্চ মানের। তারা তাদের প্রেমে খুব সতর্কতা অবলম্বন করে এবং তারা অন্য কারো কাছে নিজেদেরকে নিক্ষেপ করবে না। তারা কেবল এমন ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ হন যাঁরা তাদের বন্ধু হওয়ার উপযুক্ত বলে মনে করেন। বিনিময়ে তারা দেখাবে সেই ব্যক্তিকে তারা কতটা ভালোবাসে এবং তার জন্য কতটুকু কৃতজ্ঞ।

August brings into sharp focus and a furious boil everything I’ve been listening to in the late spring and summer.

  • Henry Rollins

꧁㊈↜•Leͥgeͣnͫd•ᴸᵉᵒⁿ ↜㊉꧂

Monthly Review July

‘July’ শব্দের অর্থ উন্নত, মহান। রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের নামের সাথে মিল রেখে এই মাসের নাম রাখা হয় জুলাই।

জুলাই এর রঙ হচ্ছে ‘রক্তবর্ণ লাল’। রক্তবর্ণ লাল হচ্ছে শক্তি, সংগ্রাম আর ক্ষমতার প্রতীক।

জুলাই মাসের ফুল হচ্ছে ‘জলপদ্ম’। জলপদ্ম হচ্ছে বিশুদ্ধতা, শান্তি এবং আনন্দের প্রতীক।

জুলাই বছরের ‘৭ম’ মাস। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় ৭ হচ্ছে সবচেয়ে ভাগ্যবান সংখ্যা। ৭ সংখ্যাটি পরিপূর্ণতা এবং নিরাপত্তার পরিচয় বহন করে। দার্শনিক পিথাগোরাসের মতে, “৭ হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে আধ্যাত্নিক সংখ্যা। এর মাঝে পৃথিবীর গোপনীয়তা, রহস্যময়তা এবং বাস্তবিকতা লুকিয়ে আছে।”

রংধনুর রঙ ৭টি। একটি সপ্তাহে ৭টি দিন। সংগীতের স্বরের স্কেলে ৭টি নোট থাকে। পৃথিবীতে মহাসাগরের সংখ্যা ৭টি। রোমানদের সম্রাট ছিলেন মোট ৭ জন। নূহ (আ) তার নৌকায় ৭ জোড়া প্রাণী নিয়েছিলেন।

ধর্মগুলোর সাথেও ৭ সংখ্যাটি জড়িত। কোরআনের প্রথম সূরা ফাতিহা আয়াত সংখ্যা ৭টি। স্বর্গ এবং নরকের সংখ্যা ৭টি। কাবা ঘর ৭ বার তাওয়াফ করতে হয়। সনাতন ধর্মে ৭জন রিশি ছিলেন। সনাতন বিয়েতে ৭টি চক্র ঘুরতে হয়। জিসাস পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়ার আগে ৭টি বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন। বাইবেলে ৭টি কর্তব্য মানার নির্দেশ রয়েছে।

.
জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষ গুলোর মন-মেজাজ খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়। এদের মুড সুইং অনেকটা বাতাসের মত, একেক সময় একেক দিকে বইতে শুরু করে।

অতি সামান্য কোনো ব্যাপারও অনেক গূরুত্বপূর্ণ বিষয় এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর কাছে। যদিও এইসব ব্যাপার তাদেরকে মানসিকভাবে আঘাত করলেও তারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায় না।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো বেশ হাসি-খুশী স্বভাবের হয়। প্রাকৃতিক ভাবেই তাদের সেন্স অফ হিউমার দৃঢ়। সার্কাজম তাদের নামের মধ্যম অংশ বলা যায়। তারা রসিকতা করে আপনাকে হাসতে বাধ্য করবে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর বন্ধু সংখ্যা অনেক। কিন্তু দিনশেষে তারা একাকী সময় কাটাতে পছন্দ করে। অতিরিক্ত মানুষের ভিড়ে তারা থাকতে পছন্দ করে না। তাদের মন চায় মুক্ত, শান্ত, নীরব পরিবেশ।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর হৃদয় অনেক সংবেদনশীল। তাদের অনুভূতিতে আঘাত করা অনেক সহজ। কেউ মানসিকভাবে আঘাত করলে ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে যায়। আর এটি কাটাতে অনেক সময় লাগে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো প্রতিশোধ পরায়ণ হয় না। কেউ তাদেরকে আঘাত করলে তারা ঠিকি কষ্ট পাবে। কিন্তু প্রতিশোধ নিতে চাইবে না। প্রতিশোধের বদলে তারা ক্ষমা করে দিতে ভালবাসে। আর সেই আঘাতের কথা কখনো ভুলে না।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো সহানুভূতিশীল। তারা অন্য মানুষদের সহজে বুঝতে পারে। তারা ছোট-বড়, ধনী-গরীব সকলের সাথে একইরকম আচরণ করতে চেষ্টা করে।

অপ্রয়োজনীয় এবং অপ্রাসঙ্গিক জিনিস ভীষণভাবে অপছন্দ করে এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো। অযৌক্তিত এবং অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা করতে তারা একদমই পছন্দ করে না।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো পোষাকের ক্ষেত্রে ভীষণ সচেতন এবং রুচিবান। তাদের একটি নির্বোধ শৈলী আছে। ভালো সঙ্গীত, ভালো খাবার, ভালো পরিবেশ বাছাই করতে বেশ রুচিবান হয়।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো ভালো সংগঠক বটে! তাদের প্রত্যেকটি কাজের মাঝে ভিন্নতা এবং ব্যতিক্রমী দিক আছে। যে কোনো কাজের প্রতি তারা কঠোর পরিশ্রমী।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর কাছে পরিবার হচ্ছে সবকিছু। তাদের কাছে পরিবারের প্রধান্য সবার আগে এবং নিজ পরিবারকে যত্ন নিতে ভালবাসে।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো শান্ত স্বভাবের হয়। প্রচন্ড বিপদের মাঝেও তারা সহজ-স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করে। কারণ তারা জানে ভেঙে পড়লে আরো বিপদ ঘটার সম্ভাবনা আছে।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর বোধ শক্তি বেশ দৃঢ়। আপনি কোনো সমস্যার কথা বললে তারা মনোযোগ দিয়ে শুনবে। তারপর আপনাকে সুন্দর করে সবকিছু বোঝাতে চেষ্টা করবে। তাদের বোঝানোর প্রয়াস হৃদয় জয় করার মত।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো নিজেদের এবং প্রিয় মানুষদের ব্যাপারে খুব সংরক্ষণশীল আচরণ করে। এই সংরক্ষণশীল আচরণ অনেকসময় অন্যদের কাছে বিরক্তির কারণ হয়। কিন্তু এইজন্য তারা তাদের মনোভাব পরিবর্তন করে না।

জুলাই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর সবচেয়ে ভালো দিক হলো, তারা অন্যদের সাহায্য করতে খুবই আন্তরিক। কাউকে সাহায্যের বিপরীতে তারা কোনো প্রতিদান আশা করে না। সাহায্য ব্যাপারটা তাদের কাছে মনুষ্যত্বের বিষয়। এই জন্য সহজেই তারা অন্যদের ভালো বন্ধু হয়ে যায়।

.
The Summer looks out from her brazen tower,
Through the flashing bars of July.

  • Francis Thompson

꧁𓊈𒆜•Leͥgeͣnͫd•ᴸᵉᵒⁿ 𒆜𓊉꧂

Monthly Birthday Review June

June শব্দটির অর্থ নিখুঁত। জুন শব্দটি এসেছে ল্যাতিন জুনো শব্দ থেকে। জুনো ছিলেন একজন রোমান দেবী।

জুনের সংখ্যা ৬ (ছয়)। ৬ সংখ্যাটি সম্পূর্ণতার বাহক। এই সংখ্যাটি সৌন্দর্য এবং আদর্শের প্রতীক। দার্শনিক অগাস্টিনের মতে, ‘ছয় একটি নিখুঁত সংখ্যা কারণ সৃষ্টিকর্তা এই পৃথিবীকে ছয় দিনে নিখুঁতভাবে তৈরী করেছেন।’

জুনের ফুল হচ্ছে গোলাপ। গোলাপ ভালবাসা, বন্ধুত্ব, ভ্রাতৃত্বের প্রতীক। জুন হীরক বর্ণের।

জুন মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো বিশেষ ব্যক্তিত্বের এবং মনোভাবের অধিকারী হয়। যার ফলে সহজেই মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর চিন্তাশক্তি খুব প্রখর। খুব সহজেই তারা নতুন নতুন আইডিয়া, জটিল কিছুর সমাধান খুঁজে বের করতে পারে।

জুন মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব তার্কিক হয়। এরা তর্ক করতে ভালবাসে। আপনার তর্কের বিষয় ইতিবাচক হলেও তারা তর্কে হারিয়ে দিতে প্রস্তুত।

নিজেকে দেখতে কেমন লাগছে এই ব্যাপারে তারা খুব সচেতন। তারা চায় অন্যের চোখে যেন তাকে খুব সুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেখায়।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো নম্র, ভদ্র,মিষ্টভাষী মানুষের প্রতি বিশেষ আকর্ষণবোধ করে। আবার মানুষজন খুব সহজেই এদের বন্ধু হতে চায়।

কোনো মিথ্যা কিংবা কাল্পনিক কথা এরা এমনভাবে উপস্থাপন করতে পারে যা আপনার কাছে একদম সত্য মনে হবে। ভুল ধরার উপায় খুজে পাবেন না।

জুন মাসে জন্ম নেওয়া মানুষেরা তাদের বাস্তব চরিত্র মানুষের মাঝে প্রকাশ করতে চায় না। এমন কোনো বিষয় তারা মানুষের মাঝে প্রকাশ করে না যা তাদের সম্মান নষ্ট করে।

তারা সবসময় সঠিক জিনিসটা সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় পেতে চায়। আর সেই জিনিসটার সেরাটা চাই।

জুন মাসে জন্ম নেওয়া মানুষের মনে অর্ন্তদৃষ্টি আছে। খুব সহজেই তারা অন্য কারো মনের ভাবনা বুঝে উঠতে পারে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো তাদের ইমোশন অন্যের কাছে প্রকাশ করতে চায় না। আপনি বুঝতেই পারবেন না তার মনে কি চলছে।

দিনের মধ্যে অসংখ্যবার তাদের মুড পরিবর্তন হয়। কোনো কারণ ছাড়াই এদের মুড খারাপ হতে পারে। আবার নিমিষেই ভালো হয়ে যাবে।

খুব সহজেই তারা অন্যের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে পারে। কারণ তারা অন্যের মনের সাথে মিল রেখে কথা বলতে পারে। যা অন্যদের আকৃষ্ট করে।

জুন মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর মাঝে অনিশ্চয়তা খুব বেশী। তারা কি চায় সেটা মাঝে মাঝে তারা নিজেরাও বুঝে উঠতে পারে না। খুব সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগে।

If a June night could talk, it would probably boast it invented roman.

꧁☠︎︎Leͥgeͣnͫd☠︎︎ʟᴇᴏɴ꧂

Monthly Birtday Review MAY

May শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ ‘মায়া’ থেকে। মায়া ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ গ্রীক দেবী। দেবী মায়া ছিলেন হিমাংশু দেবতা এটলাসের কন্যা। মায়া শব্দের অর্থ ‘মহান’।

মে মাসের সংখ্যা ‘৫’। পাঁচ হচ্ছে সমতার সংখ্যা। পাঁচ সংখ্যাটি দিয়ে মানুষের অস্তিত্ব প্রকাশ পায়। মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয় আছে, দৃষ্টি, শ্রবণ, স্বাদ, গন্ধ এবং স্পর্শ।

পুরোহিতরা পাঁচকে শান্তি এবং সম্প্রীতির প্রতীক মনে করতেন। দার্শনিক পীথাগোরাসের মতে, ‘পাঁচ হচ্ছে পৃথিবী এবং স্বর্গের মাঝে বন্ধন সৃষ্টিকারী সংখ্যা।’

মে মাসের রঙ হচ্ছে হলুদ। হলুদ হচ্ছে সুখ, স্বচ্ছতা, শক্তি, সম্মানের প্রতীক। মে মাসের ফুল হচ্ছে পদ্ম। পদ্ম ফুল বিশুদ্ধতা আর পূণ্যের প্রতীক।

মে মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি অন্যদের চেয়ে আলাদা। তারা যে কোনো বিষয়কে ভিন্নভাবে চিন্তা করতে ভালবাসে। সেই চিন্তা আর পরিকল্পনা গুলো জীবনের সাথে বাস্তবধর্মী বটে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব শান্ত এবং স্থিতিশীল স্বভাবের। তারা তাদের জীবনের উদ্দেশ্য খুব ভালো করে জানে। কিছু করার সিদ্ধান্ত নিলে তারা সেটা করে ছাড়ে।

অন্য কারো অনুপ্রেরণা তাদের জীবনে খুব একটা প্রয়োজন হয় না। তারা নিজেদের অনুপ্রেরণায় সব কাজ করতে চায়। তাতে ব্যর্থ হলেও কিছু যায় আসে না। সেখান থেকেই তারা শিক্ষা নিতে চায়।

মে মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব রগচটা স্বভাবের হয়। সহজেই তারা কোনো কিছুতে রাগ করতে ফেলে। কেউ তাদের সাথে মজা করলে তারা সেটা মজা হিসাবেই নেয় কিন্তু অতিরিক্ত মজা নিলে সেটা তাদের খুব রাগান্বিত করে।

মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করতে তারা খুব পছন্দ করে। তাদের দিকে কেউ মনোযোগ আকর্ষণ করলে ব্যাপারটা তারা খুব উপভোগ করে। তারা চায় শত লোকের ভিড়ে সবার মনোযোগটা তাদের দিকেই থাকুক।

ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে তারা খুব ভালবাসে। তাদের সেই পরিকল্পনা হয় অত্যন্ত নিখুঁত। এ মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুবই স্বপ্নবান। তাদের স্বপ্নগুলোতে অনেক কল্পনা থাকে কিন্তু কোনো কল্পনাতেই স্বপ্ন থাকেনা। অর্থ্যাৎ স্বপ্নগুলো বাস্তবে বাস করে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো অনেকটা অলস প্রকৃতির। সময়ের কাজ সময়ে করে ফেলা তাদের একদমই পছন্দ না। কিন্তু নিজের কোনো গূরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে তারা তাদের সমস্ত ক্ষমতা ব্যবহার করতে প্রস্তুত।

মে মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো খুব অমিতব্যয়ী। তাদের পক্ষে টাকার হিসাব রাখা সম্ভব হয় না। কারণ তারা যেকোনো কাজে অযথা টাকা খরচ করতে দু্‌ইবার চিন্তা করে না। কিন্তু সেই খরচগুলো হয় অপ্রয়োজনীয়। আবার প্রয়োজনে কোনো খরচ করতে দুইবার চিন্তা করবে।

প্রেম-ভালবাসার ক্ষেত্রে এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো অত্যন্ত সংবেদনশীল। ফলে চট করেই প্রতি ভালো লাগা কাজ করে না। তারা তাদের ভালবাসার মানুষকে খুব সহজেই বুঝে ফেলতে পারে। মন থেকে তাদের প্রিয় মানুষকে অনুভব করতে পারে।

এই মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো অনেকটা একরোখা স্বভাবের। তাদের যখন যেটা প্রয়োজন হবে সেটার সন্ধানেই সর্বদা খুঁজে বেড়াবে। এইজন্য তারা অন্য কারো উপদেশ নিতে পছন্দ করে না। সেই উপদেশ তাদের কাছে সময়ের অপচয় মাত্র!

মে মাসে জন্ম নেওয়া মানুষগুলো উপার্জন করতে ভালবাসে। পরিবারের কাছ থেকে অর্থের সাহায্য প্রত্যাশা করে না, নিজেরাই আর্থিকভাবে স্বচ্ছল থাকার চেষ্টা করে। নিজেদের টাকায় তারা তাদের সকল প্রয়োজন মেটাতে চেষ্টা করে।

.
অন্যান্য মাসের মতো এই মাসেও দেশে-বিদেশে বিখ্যাত সব লোক জন্ম নিয়েছেন।

প্রথমে উপরের কথাগুলোর একটা প্রকৃষ্ট উদাহরণ দিচ্ছি। যিনি আশেপাশের কোনো মানুষের কথা না শুনে সর্বদা নিজের মনের ইচ্ছা, দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রাধান্য দিয়েছেন এবং সফল হয়েছেন। তিনি ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ।

বিখ্যাত বাঙালিদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, কায়কোবাদ মৃণাল সেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, উপেন্দ্রকিশোর রায়, হুমায়ুন ফরিদী, জাহানারা ইমামের মত বিখ্যাত সব লোকদের জন্ম এই মাসে।

May, more than any other month of the year, wants us to feel most alive. This month came, when every lusty heart beginneth to blossom, and to bring forth the flower.

꧁𓊈𒆜•Leͥgeͣnͫd•ᴸᵉᵒⁿ 𒆜𓊉꧂
Design a site like this with WordPress.com
Get started